হাইমচর উপজেলা এক সময় জেলা বৃহৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল। যেহেতু ইহা নদীর তীরে অবস্থিত সেহেতু বিভিন্ন কৃষি পণ্যের জমজমাট বাজার বসত এখানে। প্রমত্ত মেঘনা ভাঙ্গনে হাইমচর সেই ঐতিহ্য হারিয়েছে।
চরভৈরবী বাজার |
আলগী বাজার |
হাইমচর বাজার |
জনতা বাজার
হাওলাদার বাজার |
ঈশানবালা বাজার |
বাহেরচর মিয়ার বাজার |
রায়ের বাজার |
গাজীর বাজার
বাংলা বাজার |
কাটাখালী বাজার |
নয়ানী নতুন বাজার |
মধ্যচর নীলকমল বাজার |
সাহেবগঞ্জ বাজার |
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.১৪%, ভূমিহীন ৪৯.৮৬%। শহরে ৩৩.১৮% এবং গ্রামে ৫২.৫% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, পান, সুপারি, পিঁয়াজ, রসুন, সয়াবিন, আলু, করলা।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, তিল, তিসি, কালিজিরা, তামাক, সরিষা, অড়হর, খেসারি, মিষ্টি আলু।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, তাল, বেল, পেঁপে, আমড়া, চালতা, কুল, বাতাবি লেবু, নারিকেল, সুপারি।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ১২৭, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র ১, হাঁস-মুরগি ১০, নার্সারি ১৪।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৫ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯৫ কিমি; নৌপথ ১২ নটিক্যাল মাইল।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা চালকল, করাতকল, বরফকল।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৪, মেলা ৪। চরভৈরবী বাজার, হাইমচর বাজার ও কাটাখালী বাজার এবং বৈশাখী মেলা, পৌষ পার্বণ মেলা ও রথের মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য পাট, পান, রসুন, পিঁয়াজ, নারিকেল, সুপারি, মাছ, করলা।
হাইমচর উপজেলার উল্লেখযোগ্য নদী পদ্মা, মেঘনা। হাইমচর উপজেলা টি পদ্মা-মেঘনার মিলন স্থলে অবস্থিত। নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ করা হয়। অধিকন্তু এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়। নদীতে মাছ ধরে এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পদ্মা-মেঘনা নদী এ জনপদের মানুষের দুঃখের মূল কারণ। ক্রমশই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে এখানকার ঘর-বাড়ি। ঘর-বাড়ি হারিয়ে এখানকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস