ব্যাংক সমূহ
১। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
২। সোনালী ব্যাংক
৩। অগ্রনী ব্যাংক
৫। গ্রামীন ব্যাংক
স্থানীয় সংস্থা সমূহ ( যারা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম করছে)
১। গ্রামীন ব্যাংক
আধুনিক যুগের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ব্যাংকিং পদ্ধতির উন্মেষ ঘটে মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর শুরুতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ হতে ৪০০ সাল পর্যন্ত প্রাচীন সিন্ধু, গ্রিক, রোমান, ব্যাবিলন ও চীন সভ্যতায় ব্যাংকের অস্তিত্বের ইতিহাস পাওয়া গিয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে প্রাচীন গ্রিক, বেবিলন ও মিশরীয় সভ্যতায় ব্যাংকিং কার্যাবলীর যথেষ্ট প্রামাণ লক্ষ্য করা যায়। সে সময়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়গুলোকে কেন্দ্র করে ব্যাংক ব্যবসায় গড়ে উঠে। এরূপ উপাসনালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ব্যাংক ব্যবসায়কে বলা হতো 'উপাসনালয় ব্যাংকিং'। প্রাচীন কালে চীন দেশীয় সভ্যতায় ব্যাংকের ইতিহাস লক্ষণীয়। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে চীন দেশে প্রতিষ্ঠিত 'শান্সী ব্যাংক' এর প্রমাণ।
ব্যাংকিং ইতিহাসের ৪০০ সাল হতে ১৪০০ সাল পর্যন্ত সময়কে ব্যাংক ব্যবস্থার মধ্যযুগ বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে, উক্ত সময় হতেই ব্যাংকের কার্যাবলী উন্নত হতে শুরু করে। উক্ত সময়ে ইউরোপ তথা সমগ্র বিশ্বে ইটালীয় প্রজাতন্ত্রগুলো ব্যবসায় বাণিজ্যের দিক থেকে খুব উন্নত ছিল। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে ইটালিয় রোম শহরে ইহুদী ব্যবসায়ী ও মহাজনগণ যৌথ উদ্যোগে ব্যাংক ব্যবস্থার প্রবর্তন করে। ১১৫৭ সালে ভেনিস সরকারের প্রচেষ্টায় 'ব্যাংক অব ভেনিস' প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা বিশ্বের প্রথম সংগঠিক ব্যাংক হিসেবে পরিচিত।
আধুনিক যুগের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ব্যাংকিং পদ্ধতির উন্মেষ ঘটে মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর শুরুতে ইটালীর উত্তরাঞ্চলের ধনী শহর বিশেষ করে ফ্লোরেন্স, ভেনিস এবং জেনোয়ায় ব্যাংকিং প্রথা শুরু হয়। বর্দি এবং পেরুজি পরিবার চতুর্দশ শতকে ফ্লোরেন্সের ব্যাংকিং জগতে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। তারা ইউরোপের বিভিন্ন অংশে ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিল।[১] এছাড়াও, অধিকাংশ জনপ্রিয় ইতালীয় ব্যাংকই ছিল 'মেডিসি ব্যাংকের' নিয়ন্ত্রণে। ১৩৯৭ সালে 'গিওভেন্নী মেডিসি' ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।[২] শুরুর দিকে পরিচিত রাষ্ট্রীয় সঞ্চয় ব্যাংক হিসেবে রয়েছে 'ব্যাংকো ডি স্যান জিওর্জিও' (ব্যাংক অব সেন্ট জর্জ)। ব্যাংকটি ১৪০৭ সালে ইটালীর জেনোয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩]
১৪০০ সাল থেকে ব্যাংক ব্যবস্থার আধুনিক যুগের সূচনা হয়। ১৪০১ সালে 'ব্যাংক অব বার্সিলোনা' প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্যাংকের কার্যাবলী বিস্তৃত হতে থাকে। এ ব্যাংককেই বিশ্বের সর্বপ্রথম আধুনিক ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিতকরা হয়। ১৪০৭ সালে 'ব্যাংক অব জেনোয়া' ১৬০৯ সালে 'ব্যাংক অব আমস্টার্ডাম', ১৬১৯ সালে 'ব্যাংক অব হামবুর্গ' প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যাংকিং কার্যক্রম আধুনিক হতে শুরু করে। এর পরে বিশ্বের প্রথম সনদপ্রাপ্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে ১৬৫৬ সালে সুইডেন 'ব্যাংক অব সুইডেন' প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পরে ২৭ জুলাই, ১৬৯৪ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বের প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪] সুইডেনের স্ভেরিজেস রিক্সব্যাংকের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিশ্বের ৮ম প্রাচীন ব্যাংক।[৫] পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যাংক হিসেবে মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা চিহ্নিত হয়ে আছে। এর সদর দফতর ইতালির সিয়েনায়। ১৪৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি এখনও আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে আসছে।[৬] ১৭৩৪ সাল থেকে সিটি অব লন্ডনের থ্রেডনিডল স্ট্রিটে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সদর দফতর অবস্থিত। মুদ্রানীতি প্রণয়নসহ এটি সরকারের যাবতীয় ঋণ পরিশোধ, নোট তৈরি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ করছে।[
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস